খবর৭১ঃ জাতীয় পার্টির (জাপা) অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথা ঘামানোর মতো সময় নেই বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দল। জাপায় অভ্যন্তরীণ বিবাদ ও টানাপোড়েন আছে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আওয়ামী লীগ রওশন এরশাদ কিংবা জিএম কাদের কারও পক্ষে অবস্থান নেবে না।’
শুক্রবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন মাসব্যাপী উদযাপনের উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যুবলীগ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিএনপিকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। তারা এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। বিএনপি দিশেহারা হয়ে বিদেশীদের কাছে ধর্না দিয়ে দেউলিয়া ও হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে। শেখ হাসিনার সুশাসন তাঁর সাহসী নেতৃত্ব, রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয়। বিএনপি যতই বিরোধীতা আর চেচামেচি করুক লাভ হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং উন্নয়ন ম্যাজিকের মতো। তার জুড়ি বিশ্বে নেই। একজন রাজনীতিকের চিন্তা থাকে পরবর্তী নির্বাচন আর শেখ হাসিনার চিন্তা পরবর্তী জেনারেশনের উন্নয়ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা অসাধারণ নেতৃত্বের অধিকারী। ১৭ কোটি মানুষের জন্য শেখ হাসিনার যে মমতা তা অন্য কোনো নেতার মধ্যে নেই। তিনি জেগে আছেন বলে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। দেশ জেগে আছে। জাতীয় পার্টিতে যে টানাপোড়েন চলছে তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার, আমাদের নয়। নিয়ম অনুযায়ী স্পিকার বিরোধী দল নির্বাচন করবেন। রংপুর নির্বাচনে ৭ সেপ্টেম্বর দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।’
শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং তার ভাবমূর্তি মানুষের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব এবং আওয়ামী যুবলীগ সেটি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুবলীগ আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করে। যুবলীগের রাজনীতি অস্ত্রবাজি নয়, লেখা-পড়া শিখানোর রাজনীতি।’
এ সময় ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুশাসনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন এখন বোতলবন্দী হয়ে আছে। তারা আন্দোলনের কথা বলে নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করছে। তাঁরা মাঠে নেই।’ এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ, ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবর রহমান চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান আতা, সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন মনা, আনোয়ার ইকবাল সান্ঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, মাকসুদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।