হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে উপজেলার ৩৬টি পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. পীযুষ ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক রবীন্দ্র কুমার দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, প্রাক্তন অধ্যাপক হরিদাস রায়, পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর শাখার সভাপতি মহন্ত কুমার রায়, উপজেলা কমিটির মহিলা সম্পাদিকা শিখা রানী দে, যুগ্ম সম্পাদক, সাংবাদিক বিজয় রায়, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রমের সভাপতি অরুন অধিকারী, পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর শাখার সহ সভাপতি অরুন দাস, কালীদাস পোদ্দার, শিক্ষক অজয় কৃষ্ণ পাল, চৈতন্য সংঘের নান্টু বর্ধন, চৈতন্য সংঘ পূজা কমিটির সভাপাতি লিটন ঘোষ, তাতিকোনা পূজা কমিটির সভাপতি শিক্ষক প্রনব দাস মিটু, ধনিটিলা পূজা কমিটির সভাপতি ব্রজেন্দ্র সিংহ, শিববাড়ী পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক সঞ্জিব পাল মুন্না, প্রমুখ। সভায় নেতৃবৃন্দর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা গোপাল রঞ্জন দেব, নেপাল চন্দ্র পাল, শিক্ষক পংকজ কুমার দাস, কৃপেশ চন্দ্র দাস, উপজেলার বিভিন্ন পূজা কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকদের মধ্যে রাখাল চন্দ্র দাস, বিভাষ চৌধুরী, নিশন গোস্বামী, প্রনব কান্তি চক্রবর্ত্তী, তপু চক্রবর্ত্তী, ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস, অমরেশ সরকার, শংকু দাস, পিংকু দাস, সুদাম দেবনাথ, লিটন ঋষি, আশিষ আচার্য্য, নারু দেব, পার্থ চন্দ, নিখিলেশ দেব, নিমলেন্দু দস্তিদার, দিজেন্দ্র চন্দ্র দাস, দিগেশ চন্দ্র দেব, দ্বিজবর চন্দ্র মজুমদার, বনমালী বিশ্বাস, নুপুর দাস, পিন্টু চন্দ্র, কানু প্রিয় দাস, জয় প্রকাশ ভৌমিক, কেশব পাল, শ্যামল চন্দ্র সরকার, সত্যেন্দ্র দাস, অনিল পাল, অমর দেবনাথ, বিদ্যুৎ দাস, শ্যাম দাসসহ সনাতন ধর্মাবলম্বি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে এড. পীযুষ ভট্টাচার্য্য ধর্মীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির আলোকে পূজা-অর্চ্চনা করার পরামর্শ দিয়ে সকল পূজা কমিটির উদ্দেশ্যে বলেন, পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু থেকে স্ব স্ব মন্ডপে নিজস্ব পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।
প্রতিটি পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থার জন্য বিদ্যুতের পাশাপাশি ষ্ট্যান্ডবাই বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাইক, স্পীকার, বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারে যাতে শব্দ দুষন সৃষ্টি না হয় এর জন্য এসব সীমিত আকারে ব্যবহার করা বাঞ্চনীয়। আযান ও নামাজের সময় উচ্চ শব্দ বিশিষ্ট সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র, মাইক, স্পীকার বাজানো এবং সব ধরনের আতশবাজী ও ফটকা ফুটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতীমা বিসর্জনের সময় সড়ক পরিক্রমা না করে নির্ধারিত সড়ক দিয়ে গন্তব্যে পৌছার জন্য সকল পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দর প্রতি আহবান জানান।