খবর৭১ঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমানসহ ৬ জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এই নোটিশ পাঠান বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।আরও যে তিনজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. এ কে এম আমিনুল হক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পরিচালক ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. ইফফাত আরা ও প্রভাষক ডা. শ্বাশত ধর সম্রাট।
নোটিশে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টায় একটি অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে; যেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বিশেষ অতিথি, কাজী ফিরোজ রশিদ সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া ডা. এ কে এম আমিনুল হক এবং ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. ইফফাত আরাও বক্তব্য রাখেন।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, অনুষ্ঠানটি শোক দিবসের হলেও তাতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়নি। ইউনুছ আলী নোটিশে আরও বলেছেন, তিনি জাতীয় সঙ্গীতে গাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতে চাইলেও তাকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি। নোটিশে বলা হয়েছে, জাতীয় শোক দিবস পালনের সময় আপনারা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশেন না করে আইন লংঘন করেছেন এবং সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমূল্যায়ন করে উক্ত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন এবং আপনারা আপনাদের পদে থাকতে পারেন না।
নোটিশে আরও বলা হয়, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ২৯ আগস্ট বিকাল ৪টার পরে জাতির পিতার স্মরণে শোক দিবস পালন করা হয়েছে। সেখানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। সেখানেও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু আপনারা জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার প্রতি অশ্রদ্ধা করেছেন। নোটিশের বিষয়ে অবহিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী।