খবর৭১ঃ রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ টার্গেট ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি জানান, সায়েন্সল্যাব মোড়ে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ টার্গেট ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শনিবার সায়েন্সল্যাব মোড়ে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর পরপরই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি।
বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশপাশের সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই তদন্তাধীন এ বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত মতামত দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে- হামলায় ব্যবহৃত বস্তুটি একটি আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ছিল। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পুলিশকে টার্গেট করে এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
প্রায় তিন মাস আগে গুলিস্তান পুলিশ বক্স লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুলিস্তান পুলিশ বক্স ও মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে হামলা, পল্টন-খামারবাড়িতেও পুলিশ বক্সের কাছে বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছিল। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে, সব হামলায় টার্গেট পুলিশ।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পুলিশের ওপর ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে দেশজুড়ে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর পুলিশ মোটাদাগে তাদের নেটওয়ার্ক দুর্বল করে দিতে সক্ষম হয়েছে। যে কারণে পুলিশের ওপর ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক।
প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, গুলিস্তানের বোমাটি টাইমার সেট করা, মালিবাগের ঘটনা ছিল রিমোট কন্ট্রোল, আর পল্টন-খামারবাড়ির বোমা দুটি ছিল পুঁতে রাখা।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক দুর্বল করে দিলেও হুমকি ও অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেসব অপতৎপরতা চিহ্নিত করতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।