খবর৭১ঃ
দুই মাসের মধ্যে দেশের প্রতিটি আদালত কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ২১ আগস্টে হাইকোর্টে এ রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। আইনসচিব, গণপূর্তসচিব, অর্থসচিব, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।
একই সঙ্গে আদালত বিষয়টি নিয়ে রুলও জারি করেন। রুলে দেশের সব আদালত কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে হবে।
রিটকারী আইনজীবী সুবির নন্দি দাস জানান, হাইকোর্টের এ আদেশ বাস্তবায়ন করে দুই মাস পর প্রতিবেদন (কমপ্লায়েন্স) দাখিল করতে বলেছেন আদালত। তিনি বলেন, সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে হবে। এ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে সারাদেশের প্রতিটি আদালত কক্ষে জাতির জনকের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
রিটকারী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের রিটের প্রেক্ষিতে দুই মাসের মধ্যে সারা দেশের প্রতিটি আদালত কক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের জাতির জনকের ছবি সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালতে প্রদর্শন করছে এ উদাহরণ আমরা আদালতে তুলে ধরেছি। আমাদের জাতির জনকের ছবিও অফিস, আদালতে প্রদর্শনে সাংবিধানক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনিও সাংবাদিকদের এ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।