খবর৭১ঃ
জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুর খাদ্য গুদামের নৈশ্য প্রহরী নিরঞ্জন বিশ্বাসের কাছে জগন্নাথপুরের কৃষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। নৈশ্য প্রহরী নিরঞ্জনের মাধ্যমে দুর্নিতীবাজ জগন্নাথপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এলএসডি আব্দুল হান্নান কামাল হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী কৃষকদের। কৃষকরা আরো জানান, নিরঞ্জনকে ম্যানেজ না করতে পারলে গুদামে ধান দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। গতকাল বুধবার জগন্নাথপুর খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা ২/৩দিন পূর্ব থেকে ধান নিয়ে গুদামের সামনে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু নিরঞ্জন বিশ্বাসকে ম্যানেজ করতে না পাড়ায় ধান গুদামে দিতে পারছেন না। যারা নিরঞ্জনকে ম্যানেজ করতে পারছে তারাই গুদামে ধান দিচ্ছে আর যারা ম্যানেজ করতে পারছেনা তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে অপেক্ষমান রাখছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জগন্নাথপুর গ্রামের এক কৃষক জানান, মঙ্গলবার রাতে নৈশ্য প্রহরী নিরঞ্জন বিশ্বাস জগন্নাথপুর খাদ্য গুদামে পরীক্ষা ছাড়াই প্রায় ২শ বস্তা ধান গুদামের ভেতরে ঢুকান। এসময় উপস্থিত কৃষকরা পরীক্ষা ছাড়াই ধানগুলো গুদামে ঢুকানোর বিষয়টি জানতে চাই নিরঞ্জন বিশ্বাস গুদাম বন্ধ করে পালিয়ে যান। তবে নৈশ্য প্রহরী হয়ে কিভাবে রাতের আঁধারে গুদামে ধান ঢুকান এনিয়ে কৃষকদের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলার মইজপুর গ্রামের কৃষক তদরিছ আলী, চিলাউড়া গ্রামের আলমাছ মিয়া, হামিদপুর গ্রামের সুন্দর আলী, বনগাঁও গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, গুদামের ধান বিক্রি করতে এসে বিরম্ভনার শিকার হচ্ছি। আমাদের সিরিয়াল থাকা সত্বেও ধান দিতে পারছিনা। তাছাড়া ধান গুদামে দিতে হলে জাড়াই ২০ টাকা, গুদামে উঠানো ২০ টাকা ও বস্তা বন্ধি করতে শ্রমিকদের ১০টাকা সহ মনপ্রতি ৫০টাকা গুনতে হচ্ছে।
জগন্নাথপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এলএসডি আব্দুল হান্নান কামাল জানান, নিরঞ্জন কর্তৃক গুদামে ধান ঢুকানোর বিষয়টি আমাকে ওই দিন (মঙ্গলবার) রাতে কৃষকরা ফোনে জানিয়েছেন। তবে তিনি গুদামে ধান ঢুকানোর বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান।