খবর৭১ঃ সম্প্রতি ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে একাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর দিয়েছে।
দু’জন পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা দৈনিকটিকে জানিয়েছেন, ইরাকে দু’টি অস্ত্রের গুদামে এ হামলা চালানো হয়েছে। ‘সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের’ কাজে এসব অস্ত্রাগার ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ তুলে তেল আবিব এসব হামলা চালায়।
ইরাকের সরকার-পন্থি ‘হাশদ আশ-শাবি’ বাহিনীর ঘাঁটিগুলোতে গত মাসে অজ্ঞাত উৎস থেকে ধারাবাহিক হামলা হওয়ার পর মার্কিন দৈনিকটি এ খবর দিল।
ইরাকে এক সময় ব্যাপকভাবে তৎপর উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএসআইএল’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাশদ আশ-শাবি বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ইরাক থেকে দায়েশ উৎখাতে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গত ১৯ জুলাই ইরাকের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আমেরলি শহরে হাশদ আশ-শাবির একটি ঘাঁটিতে প্রথম ড্রোন হামলার খবর প্রচারিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক একজন অজ্ঞাত গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, ১৯ জুলাই’র ওই হামলা তেল আবিব চালিয়েছিল।
গত সপ্তাহে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরে একটি কৌশলগত বিমান ঘাঁটির কাছে হাশদ আশ-শাবি বাহিনীর অবস্থানে আরেকটি হামলা হয়। ওই বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মোহান্দেস ওই হামলার জন্য ‘পুরোপুরিভাবে’ যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছেন, এরপর থেকে তার বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর আশপাশের আকাশে অজ্ঞাত যেকোনও বিমান বা ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হবে।
এরপর বৃহস্পতিবার হাশদ আশ-শাবি জানায়, তারা রাজধানী বাগদাদের আকাশে একটি অজ্ঞাত গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, ইরাকের হাশদ আশ-শাবি বাহিনীর ছদ্মাবরণে দেশটিতে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পরিচালনা করছে ইরান। তবে বাগদাদ সরকার কঠোর ভাষায় এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।