খবর৭১ঃ
আরিফুল ইসলাম, চিলমারী প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদ উল আযহার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কমেনি বাসের ভাড়া। ভাড়া নৈরাজ্য এবং যাত্রী ভোগান্তি এখন চরমে। বছরের দুই ঈদে যাত্রীদের বাড়তি চাপ আর ভাড়া নৈরাজ্য কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে ঈদ এবং ঈদের ছুটি শেষ হলেও বাসের বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ হয়নি চিলমারী টু ঢাকা রুটে।
পরিবহনগুলোর অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এখন সবার মুখে মুখে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদের সময় দুই একদিন বাড়তি ভাড়া নেওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ঈদের ১০দিন পরেও বাড়তি ভাড়া নেওয়াটা অযৌক্তিক। জানা গেছে, এসএন পরিবহন (ননএসি) ৫০০ টাকা হলেও তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা, ফাহমিদা হক (ননএসি) ৪৫০ টাকার ভাড়া ১ হাজার ১ শত ৫০ টাকা করা হয়েছে। নাবিল এন্টারপ্রাইজ (ননএসি) বাসের ভাড়া ৫৫০ টাকার ভাড়া ১,০০০টাকা, (এসি) ১৫০০ টাকা, শ্যামলী পরিবহনে (ননএসি) ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ৯৫০ টাকা, হানিফ এন্টারপ্রাইজে (ননএসি) ৫৫০ টাকার পরিবর্তে ৯৫০ টাকা, এনা ট্রান্সপোর্ট
(ননএসি) ৫৫০ টাকার পরিবর্তে ১১৫০ টাকা, (এসি) ১৬০০ টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। ঢাকাগামী যাত্রী রুহুল আমিন (৪২) এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের এক সপ্তাহ বেশী ভাড়া নেওয়াটা মেনে নেয়া যায়, কিন্তু ১০ দিন পরও তা কি করে সম্ভব। রবিউল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানায়, ঈদের অযুহাতে টাকা বেশী নেওয়া হয় এটা দুই একদিন মেনে নেওয়া যায়। ১০ দিন পরে এত বেশী টাকা নেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। আরজিনা বেগম বলেন, আমরা আর কি করব, বাসের কাউন্টার মাস্টাররা বলে কোন কম নাই, গেলে যান না গেলে নাই। বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে।
বাস কাউন্টার মাস্টার আনোয়ার হোসেন যাদু, আঃ রহিম মিয়ার সাথে কথা হলে তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে আমরা একটু বাস ভাড়া বেশী করে নিচ্ছি, ১০/১২ টা দিনই তো বেশী নেই। সারা বছর তো আর নেই না। ফাহমিদা হক বাস কাউন্টার মাস্টার রাজু মিয়া বলেন, আমরা ১২০০ করে টিকেট বিক্রি করেও মানুষকে টিকেট দিতে পারি না, কারও মন চাইলে যাবে, না চাইলে না যাবে। এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা জানান, বিষয়টি আমি জানতাম না কেউ আমাকে অভিযোগ দেয়নি এখনো, আমি শিঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।