খবর৭১ঃ
আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধ জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছড়ারকুটী আল ওয়াহেদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা আব্দুর রহিম মিয়া কর্তৃক দ্বিতীয় স্ত্রীকে অমানসিক নির্যাতন অতঃপর কাবিন নামায় মোহরানা প্রদানের নামে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের দুলাল গ্রামের মনির উদ্দিনের পুত্র মাওলানা আব্দুর রহিম মিয়া বিগত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ ইং তারিখে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মোহরানা ধার্য করে পার্শ্ববতী ছাপড়হাটী ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ (সোনালের পাড়) গ্রামের রনজু মিয়ার মেয়ে রুমানা আক্তার কে বিয়ে করে। তাদের সংসার জীবনে ১ কন্যা সন্তান রয়েছে। এরপর থেকে আব্দুর রহিম মিয়া ও তার ১ম স্ত্রী মিলে রুমানার প্রতি অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এরই এক পর্যায়ে রুমানাকে নির্যাতন করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। অসুস্থ্য রুমানা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যপারে রুমানা আক্তার তার মা ও মমতা বেগম ও বাবা রনজু মিয়া পৃথক পৃথকভাবে জানান, বিয়ের সময় উক্ত পরিমাণ মোহরানা ধার্য করে শুধু মাত্র ১ হাজার টাকা মূল্যের ১টি নাকফুল বুঝে দেন বর পক্ষ। পরবর্তীতে মোহরানা বাবাদ ৯১ হাজার টাকা বুঝে দেয়ার কাবিন নামার একখানা নকল প্রদান করে রুমানাকে যৌতুক দাবিতে অমানবিক নির্যাতন করে এখানে (বাবার বাড়িতে) পাঠিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে অসুস্থ্য রুমানার চিকিৎসা চলছে। এব্যপারে মোবাইল ফোণে কথা হলে মাওলানা আব্দুর রহিম মিয়া তার স্বপক্ষে সঠিক জবাবে ব্যার্থ হন।