খবর৭১ঃ পার্লিসের পর এবার মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে আলোচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. জাকির নায়েকের বক্তৃতায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রোববার রাজ্যটির ধর্ম বিষয়ক কমিটি তার বক্তৃতার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম সিনার হ্যারিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেদাহ ধর্ম বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান দাতুক ড. ইসমাইল সাল্লেহ বলেন- জাকির নায়েককে যখন রাষ্ট্রীয় সীমান্তে স্বাগত জানানো হয়েছিল, তখন তিনি দেশটির ভেতর কোনো অনুষ্ঠানাদির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। আমরা লোকজনের ঐক্যবদ্ধতাকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আগুনে ঘি ঢালবেন না, কারণ এতে তা আরও বড় আকার ধারন করবে। তিনি বলেন, আমরা নিজেদের ভেতরকার ঐক্যকে ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না।
এর আগে পার্লিসে ১৬-১৮ আগস্ট মালয়েশিয়া রিভার্টস ক্যাম্প নামে নওমুসলিমদের একটি সম্মেলনে জাকির নায়েকের বক্তৃতা নিষেদ করে স্থানীয় পুলিশ। অনুষ্ঠানটি মালয়েশিয়ায় ধর্মান্তরিত মুসলিমদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হিসেবে পরিচিত। এতে জাকির নায়েক ও তার ছেলে ফারিক ভাষণ দেয়ার কথা ছিল।
পার্লিসের পুলিশ প্রধান নুর মুশার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ১৫০টি অভিযোগ রয়েছে। তিনি পার্লিস আসতে পারবেন কিন্তু বক্তৃতা দিতে পারবেন না। যদি তিনি বক্তৃতা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, মালয়েশিয়ায় আমাদের আইনের শাসন আছে এবং আমরা এটার চর্চা করব।
জাকির নায়েকের উদ্দেশে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, আপনি যদি কোনো ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলতে চান তবে আপনাকে স্বাগত। এতে আপনাকে অনুমতি দেব। আর কাউকে আমরা থামাবো না।কিন্তু তিনি (জাকির) মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছে। এটা খারাপ।
জাকির নায়েক ভারতীয় নাগরিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত এবং জাতিগত বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। তিনি কয়েক বছর ধরে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। মালয়েশিয়ায় তিন বছর ধরে থাকছেন তিনি।