খবর৭১ঃ
রাকিব হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার অনেক নদীর অভ্যন্তরীন খালগুলোতে অবৈধ কারেন্ট জাল ও ভ্যালাজালের ফাঁদে পরে নানা প্রজাতির ডিমওয়ালা ও অপ্রাপ্ত মাছ প্রায়ই বিলুপ্তির পথে। উপজেলা সদর মৎস্যবন্দর আলীপুর মহিপুর, চাপলীবাজার, ধুলাসার বাবলাতলা বাজার সহ উল্লেখ যোগ্য হাট গুলোতে প্রকাশ্যে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে।উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে বিশাল আয়তানাংশে যে বদ্ধখাল গুলো রয়েছে তার সব খালে অসংখ্য পরিমান কারেন্ট জাল ও ভ্যালাজালে ছয়লাব । এ সব খালে বিভিন্ন ফাঁসের কারেন্ট জাল দিন রাত অবিরাম পাতা থাকায় এখন আর দেশিয় মাছ তেমন দেখা যায় না। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাপুরিয়া ও পক্ষিয়াপাড়া খালে বিপুল পরিমান ভ্যালাজাল পেতে প্রতিনিয়ত অপ্রাপ্ত মাছ মারা যাচ্ছে বেড়েওঠার অনেক আগেই। লতাচাপলি, ধুলাসার, বালিয়াতলী, লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর, ডালবুগঞ্জ, চাকামইয়া, টিয়াখালী সহ সকল ইউনিয়ন গুলোর অভ্যান্তরীন খাল গুলোতে ভ্যালাজাল, কারেন্ট জালসহ আরও নানা কৌশল অবলম্বন কারী ফাঁদ পাতা জালে নির্বিচারে নিধন হচ্ছে অপ্রাপ্ত ও ডিমওয়ালা মাছ। তারই সাথেসাথে নিধন হচ্ছে সাপ, গুইসাপ, ব্যাং, কুচিয়া, কাকড়া। উপজেলা সদর ও মহিপুর আলীপুর মৎস্যবন্দর ও বিভিন্ন হাটগুলোতে প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে তা দেখে অনেকেই জানান, অনিয়মই নিয়ম, নিয়ম নির্বাসনে।উপজেলা মৎস্য দপ্তর ইউনিয়নের অভ্যান্তরীন খালগুলোতে কোন অভিযান চালিয়েছে বলে এমন সত্যতা পাওয়াজায়নি জানালেন বেশ কিছু মানুষ। মৎস্যদপ্তর কিংবা প্রশাসনকে একাধীক বার এ বিষয়ে মৎস্য কর্মর্কাকে জানালেও অভিযান চালাতে বা প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থানিতে কেবলই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন । সমুদ্র ও নদিতে মৎ সপ্তাহে অভিযান চালালেও কারেন্ট জাল বিক্রি বন্ধের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে জানান, ভুক্তভুগীরা। সাপুরিয়া পক্ষিয়াপাড়া খালে বিভিন্ন অংশে দু পাড় সরুকরে পানির পাড় বাড়িয়ে জাল পাতায় ফসলের মাঠে পানিওঠা নামার কাজে ব্যাহত করছে অবৈধ জেলেরা।ফলে আশানুরুপ ফসল উৎপাদনে মারাত্বক ঝুকিতে রয়েছে কৃষকরা।এবং ঐ খালে নৌজান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, মনজ কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, আলোচনা সভা করাহবে এবং খুব শিখ্রই অভিযান চালাবো।