খবর৭১ঃ
শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকিরঃ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘনটায় আরো ৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ৮৩ জন ডেঙ্গুরোগী সনাক্ত করে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৯জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ৩৭ জনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকীদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
এদের মধ্যে ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকা থেকে জীবানু নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বাকী ৩জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদিকে আজ বিকেলে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের খোঁজখবর নিতে আসেন জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ মো: আতিউর রহমান আতিক এমপি। এসময় তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান ঘুরেঘুরে দেখে চারপাশ্বে ময়লা আবর্জনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে জেলা হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডেঙ্গু বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতিবিনিময় সভায় হুইপ প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তিনি জানতে পারেন, শেরপুরে মাত্র দুইদিনের ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট আছে। এর পরেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে না। এছাড়া জেলায় স্থানীয়ভাবে ৩জনসহ ৮৩ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবরে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়া সত্বেও তাকে হাসপাতালের পরিস্থিতি জানানো হয়না, শেরপুরে ডেঙ্গু থাকা পরেও তাকে জানানো হয়নি। অথচ তিনি একটি লাইভ প্রোগ্রামে বলেছেন শেরপুরে ডেঙ্গু নেই। এ অবস্থার জন্য সিভিল সার্জনসহ কর্মকর্তাদের দায়ী করে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে যদি কেউ মারাযায় কাউকে রেহাই দেয়া হবে না। সরকার ডেঙ্গুর জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়ার পরও কীটের সঙ্কট সহ্য করা হবে না। সিভিল সার্জন ডাঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএমএর জেলা শাখার সভাপতি ডা: এমএ বারেক তোতা, সাচিপ নেতা ডা: এটিএম মামুন জোস, সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মো: মোবারক হোসেন প্রমুখ।