খবর৭১ঃ
ভোলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে হাত পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী দুই পাষণ্ড। ঈদের আগের দিন রবিবার রাতে বাবার কিনে দেয়া মেহেদি লাগাতে গিয়ে এই বর্বরতার শিকার হওয়া কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছ।
এদিকে এমন লোমহর্ষক ঘটনায় ধর্ষকদের জামাল নামের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার এবং স্থানীয় দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
ভিকটিমের স্বজনরা জানায়, রবিবার রাত ৮টার দিকে কিশোরী পাশ্ববর্তী আত্মীয় মাহাফুজের স্ত্রীর কাছে যায় হাতে মেহেদী পরতে। এ সময় মাহাফুজের ভাড়াটিয়া আল আমিন কিশোরীকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। তখন আল আমিনের স্ত্রী ঘরে ছিলেন না। এই সুযোগে আল আমিন ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম কিশোরীটি হাত পা ও মুখে কাপড় বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তবরত চিকিৎসক ও নার্সরা জানান, ভিকটিমের বয়স কম হওয়ায় তার অবস্থায় আশঙ্কাজনক। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত বরিশাল রেফার করা হয়েছে।
এদিকে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে রাতেই আসামীদেরকে আটক করতে পুলিশ তৎপর হয়েছে এবং আসামীদের সহযোগী জামাল নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে।