খবর৭১ঃ
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় যুবলীগের এক নেতার গুলিতে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো নয় জন। শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কাইচাইল মধ্যপাড়া মাদ্রাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- রওশন আলী মিয়া (৫২), তুহিন মিয়া (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে উপজেলার কাইচাইল গ্রামের মোছলেম মিয়ার ছেলে ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হানিফ মিয়া হৃদয়ের সঙ্গে কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাইচাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ঠাণ্ডু মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। হানিফ মিয়া ও তার ভাই উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক হাসান ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে শনিবার বিকাল ৫ টায় এলাকায় প্রবেশ করেন। এ সময় কবির হোসেন ঠাণ্ডুর সমর্থকরা হানিফ ও হাসানের মাইক্রোবাস এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে হানিফ মিয়া গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রওশন আলী মিয়া (৫২), তুহিন মিয়াকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যার সময় তারা মারা যান।
এছাড়া গুরুত্বর আহত গোলাম মওলা (৩০), গোলাম রসুল বিপ্লব (২৫), আনিস মিয়া (২৪) ও রায়হান মিয়াকে (৬৫) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠাণ্ডু বলেন, ‘কাইচাইল মাদ্রাসা মাঠে আমার লোকজন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে মত বিনিময় সভা করছিল। হঠাৎ করে হানিফ মিয়া ও তার ভাই হাসান মিয়াসহ আরো ১০/১২ জন সভায় হামলা করে। এ সময় তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে ১০/১২ জন আহত হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ২ জন মারা যান।’
অভিযুক্ত হাসান মিয়া বলেন, ‘আমরা দুই ভাই ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস যোগে ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। বাড়ির কাছে মাদ্রাসার নিকট পৌঁছালে ঠাণ্ডুর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়। আমার ভাই হানিফ মিয়া তখন আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।’
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ সুপার আলীমুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনা স্থানে পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে এলাকা স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় এখন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’