খবর৭১ঃ পরিবার-পরিজন সঙ্গে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়ছেন নগরবাসী। ফলে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় এখন মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। তবে বেসরকারি কর্মজীবীদের মধ্যে এখনও যারা শহরে অবস্থান করছেন, তাদের অনেকেই গ্রামের বাড়ি যেতে ছোটাছুটি করছেন কমলাপুর রেলস্টেশন কিংবা বাস টার্মিনালগুলোতে। শনিবার রাজধানী ঢাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
আরামবাগ থেকে যশোর-খুলনার উদ্দেশে কিছুক্ষণ পরপর ছেড়ে যাচ্ছে যাত্রীবাহী বাস। এমনই এক বাসের যাত্রী রফিকুল আলম। বেসরকারি একটি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে চাকরি করেন।
পরিবহনে ওঠার আগে আলাপকালে তিনি বলছিলেন, ‘আজও আমাদের অফিস করতে হয়েছে। ঈদের পর বেশি ছুটি কাটাবো বলে ঈদের আগে ছুটি নেইনি। বাসার সবাই অপেক্ষা করছে। তবে ঈদের সময়ের দুর্ঘটনা নিয়ে শঙ্কিত। এবার আমরা যেন এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। আর পথের ভোগান্তি তো আছেই।’
ক্রমেই ঢাকা ফাঁকা হতে থাকলেও বসুন্ধরা, মৌচাক, পল্টন, বেইলি রোডসহ মার্কেট প্রধান কয়েকটি এলাকায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ঈদের আগের শেষ সময়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন তারা।
তাদের একজন রোকেয়া আলী জানান, শনিবার রাতের গাড়িতে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। তাই শেষ সময়ে সন্তানদের বাকি কেনাকাটা শেষ করতে এসেছেন। কোরবানি ঈদে খুব একটা কেনাকাটা না হলেও এবার কিনেছেন।
মার্কেট ছাড়াও রিকশা, পাবলিক বাস কিংবা নিজস্ব পরিবহনে অনেকেই ছুটছেন মহাখালী, গুলিস্তান, আরামবাগ, সায়দাবাদ ও গাবতলীসহ বেশ কিছু বাসস্ট্যান্ড ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দিকে।