খবর৭১ঃ
প্রাইম ব্যাংক নিজেদের ২০১৯ সালের অর্ধ–বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, মুনাফা ও আমানতসহ সব ধরনের সূচকেই এগিয়ে চলেছে এ ব্যাংক।
সম্প্রতি রাজধানীতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জনসংযোগ প্রধান মো. মনিরুজ্জামানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ কথা জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানটি প্রাইম ব্যাংকের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করা হয়। দেশি–বিদেশি বিনিয়োগকারী, শেয়ার বিশ্লেষক, সাংবাদিকবৃন্দ অনলাইনের মাধ্যমে এতে অংশ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাহেল আহমেদ এবং উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী সে সব প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় ব্যাংকের অর্জিত মুনাফা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা ও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৮৮ টাকা, যা ২০১৮ সালের একই মেয়াদকালে ছিল ০.৬৮ টাকা। অন্যদিকে বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকের কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯৯.২৭ কোটি। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৭৭.৪০ কোটি। গত বছরের তুলনায় মুনাফা বৃদ্ধির এ হার ২৮ %।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, জুন মাসের শেষে ব্যাংকের আমানত দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা, যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল এর পরিমাণ ১৯,৭৫২ কোটি। এদিকে জুন শেষে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ২১,৫৮৯ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া আমদানি–রপ্তানি ব্যবসাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়।
এর আগে সূচনা বক্তব্যে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাহেল আহমেদ ব্যাংকের কৌশলগত অবস্থান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যে অগ্রগতির ধারায় ব্যাংকটি এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি যে, আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তীতে ব্যাংকের উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী বিস্তারিতভাবে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক বর্ণনা করেন। ব্যাংকের উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক– মো. গোলাম রব্বানী, মো. তৌহিদুল আলম খান, ফায়সাল রহমানসহ অন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত কয়েক বছরে প্রাইম ব্যাংকের কার্যক্রম ও ক্রমোন্নতি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ অনুষ্ঠান ব্যাংকটির সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ কর্তৃপক্ষের।