খবর৭১ঃ
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নিরাপদ রোড বিধায় সীমান্তের চিহ্নিত চোরাচালানীরা চোরাচালান করলেও কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের চিহ্নিত চোরাচালানীদের শক্তিশালী গ্রুপটি সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট ও পাহাড়ী ছড়া দিয়ে কয়লা, চুনাপাথর, মদ, গাজা, গরুসহ বিভিন্ন মালামাল অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনতে সবাইকে ম্যানেজ করতে জোড়ালো ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও গত একমাস ধরে ঐসব চোরাচালানীদের বিরোদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত না হওয়ার মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে তারা। তাই দেশ,যুবসমাজ ও সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে বিজিবির আরো দুরদর্শী,বিচ্ছক্ষন ও কঠোর নজরধারীর প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও জেলাবাসী। তবে বিজিবির সুনামগঞ্জ সিওর কঠোর নজরদারী ও তৎপরতায় চোরাচালানীদের শক্তিশালী গ্রুপটি কোনঠাশা মাঝে রয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়, উপজেলা সীমান্তের লাউড়েরগড়, বারেকটিলা, রাজাই, চাঁনপুর, ট্যাকেরঘাট, বড়ছড়া, লাকমা, বুরুংগা ছড়া, লালঘাটসহ বাগলী পর্যন্ত সীমান্তের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, বিজিবি, পুলিশ, সাংবাদিক, স্থানীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের র্সোস পরিচয়ধারী, বিজিবি, পুলিশের লাইন ম্যান নামদারী, চোরাচালানীরা ও বিজিবির দায়েরকৃত মামলার আসামীদের নিয়ে রয়েছে একটি শক্তিশালী গ্রুপ।
এ গ্রুপটি গরীব অসহায় দিনমজুর লোকদেরকে দিয়ে রাতের আধারে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ মালামাল ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনছে। এনে ছড়িয়ে দিচ্ছে সারা দেশে। মাঝে মাঝে বিজিবি টহলদল বিজিবির সিওর চাপে কিছু মালামাল আটক করলেও এর সাথে জরিত চোরাচালানীরা আটক হয় না। থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাহিরে। ফলে দীর্ঘ ২যুগ ধরে চোরাচালানীরা সীমান্তে রাম রাজ্যত্ব কায়েম করে কোটিপতি হয়েছে। সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরো জানাযায়, সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানীরা বিভিন্ন অবৈধ মালামাল ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনলেও তাদের বিরোদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয় না। কারন কিছু স্থানীয় সাংবাদিক কে দৈনিক ও মাসে মাসোহারা নিয়ে থাকেন। ফলে তারা সীমান্তের এসব অবৈধ কাজের সংবাদ প্রকাশ না করে বিজিবিকে ম্যানেজ করে তাদের সাথে থেকে ছবি তুলে,দানশীল সেজে প্রশাসনের কাছে ভাল সেজে তারাতি আলাদিনের চেরাগ পাবার মত গাড়ি, বাড়ি, দোকান, ছেলে-মেয়েদের সিলেটে নামীধামী স্কুলে লেখা পড়া করাচ্ছে সহজেই অভিযোগ রয়েছে।
সীমান্তের বসবাসকারী স্থানীয় বাসীন্দা জাকির, জিয়াউর, নয়ন সহ অনেকেই বলেন, আমাদের চোখের সামনে সব হচ্ছে। যে এক-দুজন সাংবাদিক চোরাচালানীদের নাম উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে ও চোরাচালান করার সময় বিজিবিকে খবর দেয় তাদের বিরোদ্ধে সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ, চোরাচালানী, ক্ষমতাশালী লোকজন এবং বিভিন্ন মামলার আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে নানাভাবে হয়রানির চেষ্ঠা করে তাদের কঠোর হাতে দমন করার দাবী জানান ব্যবসায়ী ও জেলাবাসী।
কঠোর নজরদারী করার কারনে সুনামগঞ্জ বিজিবি সিওকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ী শফিকুল, নজরুলসহ বড়ছড়া, ছারাগাঁও ও বাগলী শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আড়ালে থেকে চোরাচালানীদের সাথে জরিত রয়েছে মাসোয়ারা নিচ্ছে তাদের নাম বিভিন্ন সময় পত্রিকায় আসে এবং মামলাও আছে। তাদের আয়ের উৎস টা কি ? কোথা থেকে আসে তাদের এত টাকা। তাদের খুটিঁর জোড় কোথায় ? সঠিক ভাবে যাচাই করেই সব প্রকাশ হবে। সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন(২৮,বিজিবি)অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মাকসুদুল আলম বলেন, সীমান্তে আমাদের কঠোর নজরদারী রয়েছে। কোন অন্যায়কারীকে ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর ভাবে দমন করা হবে।