খবর৭১ঃ সম্প্রতি পাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকারক অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব পাওয়ার পর এবার ডিটারজেন্টে ‘ফ্লুরোসেন্ট হোয়াইটেনিং’ নামক ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ পদার্থ মানবদেহে এলার্জি, চর্মরোগ, জিনগত পরিবর্তন এবং কিডনি বিকলের মতো রোগের সৃষ্টি করে। এমনকি এই পদার্থ অতি বেগুনি রশ্মির সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থে রূপ নিতে পারে।
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নাহিন মোস্তফার এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে পরিচালিত এক প্রকল্পের অংশ ছিল এ গবেষণাটি। এর তত্ত্বাবধান করেছেন জাবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শফি মুহাম্মদ তারেক।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ডিটারজেন্টের মধ্যে ফ্লুরোসেন্ট হোয়াইটেনিং এজেন্ট এর প্রবলতা স্পেক্ট্রাফটোমিটার ও থ্রিডি এক্সাইটেশন এমিশন ম্যাট্রিক্সের সাহায্যে নির্ণয় করা হয়েছে। এ ক্ষতিকর পদার্থটির উপস্থিতি মানবদেহে এলার্জি, চর্মরোগ, জিনগত পরিবর্তন, কিডনি বিকল এবং অতিবেগুনি রশ্মির সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থে রূপান্তরিত হয়। আরো বলা হয়েছে, ক্ষতিকর এজেন্টটি চূড়ান্ত পানি শোধনাগারেও সম্পূর্ণভাবে অশোধনযোগ্য। আর পদার্থটির অস্তিত্ব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে ও পদ্মা নদীর পানিতে পাওয়া গিয়েছে।
এ বিষয়ে গবেষক মো. নাহিন মোস্তফা জানান, ‘গবেষণাটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে একটি প্রকল্প ছিল। আর এটি আমার থিসিসেরও অংশ। আমরা খুব শীঘ্রই পেপার সাবমিট করব। তার আগে পাবলিক কনর্সানে দেওয়ার জন্য এটির একটি অংশ প্রকাশ করা হলো।’
তিনি আরো বলেন, সাধারণত বাংলাদেশে ফ্লুরোসেন্ট হোয়াইটেনিং এজেন্ট হিসেবে টিনোপল নামক রাসায়নিক পদার্থ অধিকাংশ ডিটারজেন্টে ব্যবহার করা হয়। এটা মূলত জামা-কাপড়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এগুলো বাসাবাড়ি ও শিল্পকারখানায় পোশাক ধৌতকরণের কাজে বহুল ব্যবহূত। যা পরবর্তীতে নদী-নালা ও লেকের পানির সঙ্গে মিশে যায়।