খবর৭১ঃ কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গাসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ সময় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন। বিজিবির দাবি নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফের পূর্ব লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন খালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল মাদকের একটি বড় চালান খালাসের খবর পায়। খবর পেয়ে পূর্ব লেদা হাইস্কুল সংলগ্ন খালে তারা অবস্থান নেয়। এর কিছুক্ষণ পর ৮ থেকে ১০ জন লোককে হাতে পোটলা নিয়ে সামনের দিকে আসতে দেখলে বিজিবি জওয়ানরা চ্যালেঞ্জ করে। তখন মাদক কারবারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবি সদস্য মফিজুর রহমান (২৪), উজ্জ্বল হোসেন (২৬) ও ইমরান হোসেন (২৪) আহত হন। তখন বিজিবিও সরকারী সম্পদ এবং আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে সশস্ত্র মাদক কারবারীরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে আহত বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়ার পর অজ্ঞাত দুই ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে রেফার করা হয়। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে। নিহতরা হলেন উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-২ এর বাসিন্দা মো. ইসলামের ছেলে মো. কামাল (২২) এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়ার আবু শামার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (২৩)। শনাক্তের পর মৃতদেহ বুধবার ভোরে তাদের লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এই ব্যাপারে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর রুবায়েদ জানান, বিজিবির মাদক উদ্ধার অভিযানে গোলাগুলিতে উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হন। এ সময় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই মাদক কারবারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।