খবর৭১ঃ সাভারে এখন পর্যন্ত গাড়ি কিংবা চালকের সন্ধান দিতে পারেননি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী ডুবুরি দলের সদস্যরা। সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার সালেহপুর সেতু থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্যাক্সিক্যাব নদীতে পড়ে যাওয়ার তিন দিন অতিবাহিত হয়েছে।
তবে নিখোঁজের পরিবারের লোকজন তার লাশের অপেক্ষায় ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে অংশ নেন স্থানীয়রাও। সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এবার নৌবাহিনীর ডুবুরিরা গাড়িটি এবং চালককে উদ্ধারের জন্য দুটি স্ক্যানার দিয়ে তল্লাশি শুরু করেছেন।
আরও পড়ুনঃ আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসতে পারে বড় পরিবর্তন!
রোববার রাত ৮টার দিকে সাভার থেকে ঢাকাগামী একটি হলুদ রঙের ট্যাক্সিক্যাব ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার সালেহপুর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লাগিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীবাহী বাস ও অন্য একটি ট্যাক্সিক্যাবের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিয়ে গাড়িটি দ্রুতগতিতে তুরাগ নদে ছিটকে পড়ে যায়। সেতুর কাছেই মহাসড়কের বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও ৭ সদস্যের একদল ডুবুরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। এ সময় সনাতন পদ্ধতিতে অ্যাঙ্কর ফেলে গাড়ির অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চালান তারা।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হলেও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কোনো ফল না পাওয়ায় তাদের পাশাপাশি নৌবাহিনীর ১৩ সদস্যদের একটি দল অক্সিজেন নিয়ে পানির তলদেশে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা বাঁশ ও নৌকা নিয়ে প্রচণ্ড স্রোতের মধ্যেই নিখোঁজ গাড়ি ও চালকের সন্ধানে নদীতে নেমে যায়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে গাড়িটি খুঁজে পেতে নৌবাহিনীর লে. সিরাজুস সালেকিনের নেতৃত্বে সাইট টোনার স্ক্যানার মেশিন দিয়ে নদীর প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে স্ক্যান করে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে নৌবাহিনীর চিফ পেডি অফিসার ডুবুরি কবির হোসেন জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে নিখোঁজ ট্যাক্সিক্যাব ও চালকের সন্ধানে সাইট স্ক্যানার টোনার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানেই গাড়ির অবস্থান পাওয়া যাবে, সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করে ডুবুরি নামানো হবে। আপাতত এক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সন্ধান শুরু করা হলেও প্রয়োজনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আয়তন বাড়ানো হবে। আশা করছি, শিগগিরই ভালো সংবাদ দিতে পারব।