খবর৭১ঃ চাঁদের মাটিতে মানুষের পা রাখার পঞ্চাশতম বার্ষিকী ছিল শনিবার। ২০২৪ সালের মধ্যে ফের মার্কিন নভোচারীদের চাঁদে পাঠানোর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সেই লক্ষ্যে কাজ করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। কিন্তু চাঁদে ফের অবতরণের আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহাকাশ ইঞ্জিনিয়ার পাবলো ডি লিওন। চন্দ্র ও মঙ্গল অভিযানের জন্য ১৯৭০-এর দশকে দুই ধরনের স্পেস স্যুটের (মহাকাশযাত্রার পোশাক) নকশা করেছিলেন তিনি। এরপর আর সেগুলো আধুনিকায়ন করা হয়নি।
আর্জেন্টাইন এ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, নাসার কাছে এখন কোনো স্পেস স্যুট নেই। নাসার অর্থায়নে পরিচালিত নর্থ ডাকোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক লিওন বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে আমরা আবারও চাঁদে যাচ্ছি। তেমনই নির্দেশনা পেয়েছি।
অথচ ১৯৭৭ সালের পর স্পেস স্যুটের আধুনিকায়ন করা হয়নি।’ ফ্লোরিডার জন এফ কেনেডি স্পেস সেন্টার পরিদর্শনকালে এএফপিকে এসব কথা বলেন লিওন। বর্তমানে এসব স্যুট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আমেরিকান মহাকাশচারীরা পরিধান করে আছেন। এগুলো দিয়ে আবার নতুন অভিযান পরিচালনা সম্ভব নয়।
এর মধ্যে কয়েকটি কাজে লাগানোর মতো থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন লিওন। ১৯৭০-এর দশকে এনডিএক্স-১ ও এনডিএক্স-২ মডেলের দুটি স্যুটের নকশা করেছিলেন লিওন ও তার দল। মহাকাশযানের চেয়ে একটি স্যুটের মেশিন খুবই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ।
এটি নভোচারীকে বিকিরণ থেকে সুরক্ষা এবং পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। লিওন বলেন, আধুনিক এ যুগে আমাদের পোশাকে আরও প্রযুক্তির সংযোগ দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যেমন, চাঁদে বা মঙ্গলে নির্দ্বিধায় চলাফেরা করা, সামনে-পেছনে লাফ দেয়া, বাঁকা হওয়া এবং সহজেই অন্যান্য যন্ত্রাংশ বহন করতে পারার সক্ষমতা ওই পোশাকে জুড়ে দিতে হবে।
তবে নতুন চন্দ্রাভিযানের জন্য প্রথমে রকেট, ক্যাপসুল ও ল্যান্ডারগুলো আধুনিকায়নের দিকে নজর দিয়েছে নাসা। এরপরে স্যুট তৈরির কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে তারা। চন্দ্রযাত্রার বাজেট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন লিওন। তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের মোট বাজেট ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এ অর্থে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখা উচ্চাভিলাষীই বটে।’
মাইকেল কলিন্সের স্মৃতিচারণঃ ৫০ বছর আগে আরেক পৃথিবীতে প্রথমবারের মতো পা ফেলেছিল মানুষ। চন্দ্রযাত্রার সেই সুবর্ণজয়ন্তীতে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন এপোলো-১১ এর নভোচারী মাইকেল কলিন্স। নীল আর্মস্ট্রং ও অলড্রিন যখন চাঁদের বুকে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন, কলিন্স তখন লুনার মডিউল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় ৮৮ বছর বয়সী কলিন্স বলেন, যখনই আমরা চাঁদের মাটি দেখতে পেলাম, ওহ! এটা ছিল সত্যিই অসাধারণ!