খবর৭১ঃ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ দিন ব্যাপী জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁওয়ের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ অভিযান, বনজ ও ফলদ বৃক্ষমেলা-২০১৯ উদ্বোধন করা হয়েছে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে ৩ টি করে গাছ রোপণ করার আহ্বান স্থানীয় প্রশাসনের।
শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠ চত্বরে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ সেন এই মেলার উদ্বোধন করেন।
মেলা উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ সেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁওয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, বিভাগীয় কর্মকর্তা সমাজিক বন বিভাগ দিনাজপুরের আবদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন, জেলা আ.লীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, কৃষকলীগের সভাপতি সরকার আলাউদ্দীন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথি, অনুষ্ঠানের সভাপতি ও অন্যান্য অতিথিরা বলেন, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা পেতে হলে বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। শুধু তাই নয় আমাদের রোগের যাবতীয় ঔষধ এই বৃক্ষথেকেই তৈরী হয়। তাই আমদের সুস্থ্য ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য বৃক্ষরোপণ অভিযান স্বার্থক করতে হবে এবং বেশি বেশি করে গাছ রোপন করতে হবে। তাই প্রতিটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে ৩ টি করে গাছ রোপণ আহবান জানান তাঁরা।
মেলা উদ্বোধনকালে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শীলা ব্রত কর্মকার, অমিত কুমার সাহা, সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপনসহ জেলা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ। বক্তব্য শেষে স্কুল কলেজের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ২ টি করে বিভিন্ন জাতের চারা হাতে তুলেদেন প্রধান অতিথি ও ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক। বৃক্ষরোপণ অভিযান, বনজ ও ফলদ বৃক্ষমেলায় জেলার বিভিন্ন নার্সারি থেকে আসা বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল ও ঔষধি গাছের ৩৪ টি স্টল এই মেলায় অশংগ্রহণ করেছে।
এই মেলা চলবে আগমী ৩০ জুলাই পর্যন্ত কিন্তু যদি মেলা কর্তৃপক্ষ মেলা চালানোর সময়-সীমা বৃদ্ধির প্রয়োজন মনে করেন তাহলে সময় আরও বারানো হতে পারে।