খবর৭১ঃ
বিশ্বকাপের আগে স্পষ্টই জানিয়ে গিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, এখন মাশরাফি বিন মুর্তজার যেকোনো সিরিজ–টুর্নামেন্টেই ‘শেষ’ শব্দটা চলে আসছে। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে যেমন বলা হচ্ছে, এটাই কি শেষ বিদেশ সফর?
এ প্রশ্নে মাশরাফি স্বভাববিরুদ্ধ কড়া প্রতিক্রিয়াই প্রকাশ করলেন আজ সংবাদ সম্মেলনে, ‘এটা যে যেভাবে নেয়। আমারটা আমি বলতে পারছি না! চিন্তা করিনি এখনো এ নিয়ে। খেলতে যাচ্ছি ওখানে, খেলা নিয়ে চিন্তা করছি। এর পর অনেক দিন খেলা নেই সেটাও ঠিক। সে রকম কিছু হলে আসার পর চিন্তা করব। এটা আপনাদের (সংবাদমাধ্যমের) কাছে খবর। আমার কাছে হয়তো সেটা নয়। আমার কাছে খেলাটা ছাড়া অনেক বড় ব্যাপার। আমি একটু সময় নিয়ে চিন্তা করতে পারি।’
শেষ বিদেশ সফর কি না, এখনো বলতে না পারলেও বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক নিশ্চিত করলেন, খেলোয়াড় হিসেবে তিনি শেষবারের মতো শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় আমার শেষ সফর, এটা বলতে পারি। যেহেতু অনেক দিন খেলা (ওয়ানডে) নেই। শ্রীলঙ্কায় শেষবারের মতো যাচ্ছি, বিশ্বকাপের আগে যেভাবে বলেছিলাম, সেভাবেই বলছি। আসার পর হয়তো সময় পাব। আপনাদের কাছে একটু লেখালেখি করলেই শেষ! আমার কাছে সেটা না। দেখা যাক।’
বিশ্বকাপের মধ্যেই তাঁর অবসর নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, টুর্নামেন্টের শেষ দিকে দলে যে সেটির ভীষণ প্রভাব পড়েছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বোঝা গেছে। মাশরাফি হয়তো চান না আরেকটি সিরিজে এ প্রসঙ্গে নিয়ে আলোচনা হোক। তবে বিশ্বকাপে দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে যে তিনি ভীষণ হতাশ, সেটি অকপটেই বললেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্ব তো নিতেই হবে। ১৮ বছর ক্রিকেট খেলছি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট জানি। মানুষ খুব দ্রুত প্রশ্ন করা শুরু করবে। খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ লাগা, ভালো লাগা থাকেই। দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত প্রত্যাশা যখন পূরণ হবে না, তখন হতাশ হব। অনেকে বোঝানোর চেষ্টা করছে বা করবে, মন খারাপ কোরো না। মন খারাপ না হলে সেটা আমার জন্য লজ্জার হবে। প্রত্যাশা পূরণ না হলে আমার মন খারাপ হবে। তবে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতাও আছে। যেটা আগে করেছি। অনেক টুর্নামেন্টে দল হিসেবে হারানোর কিছু নেই। আমারও তাই হারানোর কিছু নেই! তবে চাপ সব সময়ই থাকে। যত দিন খেলব, এটা থাকবে ।’