খবর৭১ঃ
শেরপুর থেকে, আবু হানিফঃ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি ও পাহাড়ী ঢলের ফলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। শেরপুর সদর, শ্রীবরদী ও নকলা উপজেলার আরো অন্তত ১৫টি গ্রাম নতুনকরে প্লাবিত হয়েছে। শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীর বাজার পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) ওপর দিয়ে প্রায় তিন ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি দ্রুতবেগে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই সড়কে শেরপুর সঙ্গে জামালপুর ও উত্তরাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে আরও তিন শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হলেও জেলা ত্রাণ অফিস জানায়, বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের ৫ টি উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়নের ১৮৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৬৭ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। জেলায় ৫৩টি শিা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় ৭ দিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকসেদুর রহমান। বন্যায় জেলার বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় এবং খামারের মাছ ভেসে এবং পাড় ভেঙে প্রায় ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার মৎস্য সম্পদের য়তি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জেলায় ১২৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত এবং ৭৪৭ হেক্টর রোপা আমন ধানের বীজতলা পানিতের ডুবে গেছে। এপর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের মাঝে ৩৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে এবং নতুন করে ঝিনাইগাতী উপজেলার জন্য ১০ মেট্রিক টন এবং শেরপুর সদর উপজেলার জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।