খবর৭১ঃ
রাকিব হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ বাউফল উপজেলা আনসার-ভিডিপির কর্মকর্তা ইসমত আরা। ১০ টাকার রেভিনিউ স্ট্যাম্প কেনার নামে তার অধীনস্থ উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার, উপজেলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার, ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার, ইউনিয়ন সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডারদের মাসিক সম্মানী ভাতা থেকে জন প্রতি হাতিয়ে নিয়েছেন ২ হাজার ২০০ টাকা। উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ইসমত আরা দীর্ঘদিন ধরে তার অধীনস্থ আনসার সদস্যদের মাসিক সম্মানী ভাতা, পূজা ও নির্বাচনী ডিউটির টাকা আত্মসাৎ করলেও রহস্যজনক কারনে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ইসমত আরার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ইসমত আরা একের পর এক ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডারকে ডেকে মাস্টার রোলে স্বাক্ষর করিয়ে টাকা দিচ্ছে। এ সময়ে কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে নিজের পরিচয় দিয়ে উপস্থিত ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার ও ইউনিয়ন সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডারদের কাছে তাদের প্রাপ্য সম্মানীর টাকার পরিমাণ জানতে চাইলে নাজিরপুর ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার মো. ওবায়দুল ইসালাম বলেন, তার প্রাপ্য সম্মানী ৭ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু তাকে দেয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা। একই কথা জানান দাশপাড়া ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার গোপাল কৃষ্ণ সাহা এবং বগা ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার আমিনুল ইসলাম। ইউনিয়নের আনসার প্লাটুন কমান্ডারের সম্মুখেই উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ইসমত আরার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসিয়াল কিছু খরচপাতি আছে এ জন্য ওই টাকা রাখা হয়েছে। কিসের খরচ জানতে চাইলে তিনি বলেন রেভিনিউ স্ট্যাম্পের খরচ এরপর কল্যাণ তহবিল। রেভ্যনু স্টাম্পের দাম কত জানতে চাইলে তিনি জানান, ১০ টাকা। কল্যাণ তহবিলে কত জমা হয় জানতে চাইলে বলেন, কল্যাণ তহবিলে ৫ টাকা জমা হয়। তাহলে বাকি ২ হাজার ১৮৫ টাকা কোথায় যায় জানতে চাইলে তিনি এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না দিয়ে টেবিলের দিকে তাকিয়ে থাকেন। অক্টোবর ২০১৮থেকে মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৬ মাসের সম্মানী ভাতা প্রদানের মাস্টার রোলে দেখা যায়, উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডারে জন্য বরাদ্ধকৃত সম্মানী ভাতার পরিমাণ লেখা রয়েছে ৯ হাজার টাকা, উপজেলা আনসার সহকারী কোম্পানি কমান্ডারের ৭ হাজার ৮০০ টাকা, ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডারের ৭ হাজার ২০০ টাকা, ও ইউনিয়ন সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডারের ৬ হাজার টাকা। ওই মাস্টার রোলে বিভিন্ন পদমর্যাদার মোট ৩৩ জন আনসার কমান্ডারের নাম এবং বরাদ্ধকৃত টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা রয়েছে। এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পিযূষ চন্দ্র দে বলেন, আপনার মাধ্যমে ঘটনাটি জানলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ডেন্ট আবু সাইদ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।