দুর্নীতির কারণে যেন দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না হয়ঃ প্রধানমন্ত্রী

0
412

খবর৭১ঃ শনিবার মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন,

দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়ন যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে আমলাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সারাদিন এত খেটে কাজ করার পর দুর্নীতির কারণে যদি সব নষ্ট হয়ে যায়, সেটা সত্যিই খুব দুঃখজনক।

সরকারি কাজে গতিশীলতা আনতে আরও সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়নটা যেনো কোনোমতেই ক্ষতি না হয়, সে বিষয়টা সবাইকে আরও ভালোভাবে দেখতে হবে। আপনাদের নির্দেশনা দিতে হবে একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত। যারা কাজ করে তাদেরও এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে যে এটা কখনোই আমরা বরদাশত করবো না। সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২০২১ সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সেইসঙ্গে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও ২০২১ সালকে আমরা মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এর মধ্যে বাংলাদেশে একটা ভিক্ষুকও থাকবে না। একটা মানুষ গৃহহারা থাকবে না। একটা মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।

‘অন্তত মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো আমরা পূরণ করব। তাদের জীবনের ন্যূনতম চাহিদা, সেটা যেনো আমরা পূরণ করতে পারি, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার ফলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ অপনাদের কাজের সুফল পাচ্ছে। কর্মকর্তাদের কাজের ফলেই আমাদের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, মাথা পিছু আয় বেড়েছে। দেশ এগিয়ে যাওয়া এবং মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে যাওয়ার ফলেই আজ আমরা ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনা ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। এ কারণে আমরা সবসময় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আগামী ২১ এবং ৪১ সালকে সামনে রেখে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন হলে ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত একটি দেশ।

তিনি বলেন, গ্রামের ও শহরের মধ্যে সুযোগ সুবিধার বৈষম্য কমাতে চাই। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিতে চাই। এ জন্য আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে আমার গ্রাম আমার শহর কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here