শেরপুর থেকে আবু হানিফ :
শেরপুর জেলা সদরকে অন্তর্ভুক্ত করে শেরপুরে রেললাইনের দাবীতে ১০ জুলাই বুধবার দিনব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শহরের চকবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকালে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। বিকেলে প্রায় ১০ হাজার মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটি আয়োজিত এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে রেললাইনের দাবীর সমর্থনে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড সহ নারী-পুরুষ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্বাক্ষর প্রদান করেন। গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলাকালে শেরপুরে দ্রুত রেললাইন স্থাপনের দাবীতে সহমত প্রকাশ করে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, শেরপুরে রেলপথ স্থাপন করার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার ১৯৩০-৪০ এর দশকে প্রথম পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে পুনরায় জামালপুর-রাংটিয়া ভায়া শেরপুর রেলপথ স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। কিন্তু সেটিও আর আলোর মুখ দেখেনি। ২০১৪ সালের ৮জুন তৎকালীণ রেলমন্ত্রী পিয়ারপুর থেকে শেরপুরে রেলপথ স্থাপনের ঘোষণা দেন। এজন্য প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই কাজও শুরু হলেও অদ্যাবধি অগ্রগতি খুব একটা দৃশ্যমান হয়নি। সম্ভাবনাময় শেরপুর জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশ, নাকুগাঁও স্থলবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার লক্ষে শেরপুরে রেল পরিবহন চালু এখন সময়ের দাবী বলে উল্লেখ করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।