খবর৭১ঃ বিএনপি ‘মধ্যরাতে ভোট ডাকাতি’ হয়েছে অভিযোগ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের পর বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত ১০ মার্চ থেকে পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ঐ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়া দুই শতাধিক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
সম্প্রতি সিদ্ধান্ত বদল করে স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেওয়ার পর বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাদের দলে ফেরাচ্ছে বিএনপি। যারা বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার প্রেক্ষিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত ৩৪ জন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিদের ফেরানো হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, বহিষ্কৃত অনেকেই ইতিমধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছেন। পর্যায়ক্রমে তাদের আবেদন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিএনপি সূত্র জানায়, গত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের পক্ষে কাজ করায় ২০৬ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। সম্প্রতি তাদের মধ্যে ৬ জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলেও গতকাল মঙ্গলবার বড়ো একটি অংশকে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে বিএনপি।
গতকাল বিএনপির এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৮ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরা হলেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান লস্কর তপু ও সাবেক সদস্য শামীমা আক্তার, আশুগঞ্জের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম পারভেজ, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম খান মনোয়ার, ঘিওরের সাবেক সদস্য খন্দকার লিয়াকত হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক হোসেন সরকার, নীলফামারী জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহানুল হক, নওগাঁর নিয়ামতপুরের দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদরুল আমিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলার সাবেক সহ-সভাপতি আনিসুল হক, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার আজিম বাবু, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোসা. ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. গোলাম রাব্বানী, সিলেট জেলার সাবেক সহ-সভাপতি লুত্ফল হক খোকন, সাবেক উপদেষ্টা অ্যাড. মাওলানা রশিদ আহমেদ, সাবেক উপদেষ্টা মাজহারুল ইসলাম ডালিম, সাবেক সদস্য আহমেদ নুর উদ্দিন ও সাবেক সদস্য অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান শোয়েব, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাবেক সহ-সভাপতি স্বপ্না শাহীন, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা বেগম ও সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসী ইকবাল, বিশ্বনাথ উপজেলা মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক নুরুন্নাহার ইয়াসমিন, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন রুবেল, বিশ্বনাথের নেতা মো. মিছবাহ উদ্দিন, গোয়াইনঘাটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম স্বপন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন এবং নাটোর জেলার সাবেক সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাচ্চু।