খবর৭১ঃ দক্ষিণ আফ্রিকার ৪০তম ডারবান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: অ্যা ডটার্স টেল’।
দেশের কোটি দর্শকের মন জয় করে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক উৎসবে পা ফেলছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর নির্মিত ডকুফিল্ম ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’।
রেজাউর রহমান খান পিপলু পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আগামী ২০ ও ২৪ জুলাই ডারবান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে। ডকু ড্রামাটির অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) তাদের ফেইসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্যটি জানিয়েছে।
সিআরআই বলছে, ডারবান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে বাংলা পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: অ্যা ডটার্স টেল’ । প্রামাণ্যচিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে সিআরআই ও অ্যাপলবক্স ফ্লিমস।
আয়োজকেরা জানান, উৎসবে ‘হাসিনা: অ্যা ডটার্স টেল’ দেখানো হবে দুইবার। ২০ জুলাই দুপুর আড়াইটায় গেটওয়ে-১২ নম্বর হলে প্রথম শো হবে। আর ২৪ জুলাই বিকেল ৪টায় মাসগ্রাব-১ হলে দ্বিতীয় শো হবে।
ডারবানের কোয়াজুলু নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভ আর্টস এই উৎসবের আয়োজন করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের ওপর ভিত্তি করে ‘হাসিনা: অ্যা ডটার্স টেল’ নির্মিত হয়েছে। ২০১৮ সালে এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়। এটি পরিচালনা করেন পিপলু খান। ৭০ মিনিটের এই প্রামাণ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বছরের সেপ্টেম্বরে চলচ্চিত্রটির ট্রেলার প্রকাশ হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয় ট্রেলারটি।
২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড ব্যাপ্তির ট্রেলারটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও রাজনীতিকরাও তাদের টুইটার, ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন।
জানা গেছে, ৭০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে পরিচালকের দীর্ঘ পাঁচ বছর সময় লেগেছে। অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর এ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।
একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই ও অ্যাপল বক্স ফিল্মসের যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত হয়েছে ডকু-ড্রামা ‘হাসিনা : এ ডটারস টেল’।
দুই বছরের গবেষণা ও তিন বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় এ ডকু-ড্রামা নির্মিত হয়েছে।
এ তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের বিষাদ, বিজয় ও নৈকট্যের গল্পগুলোকে নিজের স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন পরিচালক রেজাউর রহমান খান পিপলু।
তিনি ‘হাসিনা’ চরিত্রটিকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নাটকীয় কিন্তু আন্তরিক ভঙ্গিতে চিত্রায়ণ করেছেন বিভিন্ন ভূমিকায়—কখনও বঙ্গবন্ধুর মেয়ে বা কারও বোন, কখনও একজন নেতা বা পুরো দেশের ‘আপা’ হিসেবে এবং সব কিছুর ঊর্ধ্বে তার ব্যক্তিসত্তাকে।