খবর৭১ঃ ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির যৌন নিপীড়নের মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।
যৌন নিপীড়নের মামলায় ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিচার হবে কি না জানা যাবে ১৭ জুলাই।
মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ অভিযোগপত্রের ওপর শুনানির দিন ঠিক করে দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ফেনী পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করে।
পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, যৌন হয়রানির মামলায় ২৭১ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার সময় মোবাইল ফোনে ধারণকৃত অডিও-ভিডিও রেকর্ডের দুটি কপি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই।
রাফিকে হত্যার ঘটনার আগে যৌন হয়রানির মামলায় ১৯ জুন একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তার আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম অধ্যক্ষ সিরাজকে আদালতে হাজির করেন। তারও আগে গত ২২ মে অধ্যক্ষের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল জানান, ২৭ মার্চের যৌন হয়রানির মামলায় সিরাজ-উদ-দৌলাকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। অধ্যক্ষ সিরাজ নুসরাতকে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছে।
হত্যা মামলায় সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে জবানবন্দিতে ২৭ মার্চ যৌন হয়রানীর বিষয়টি স্বীকার করেছে। যার কারণে এই মামলায় নতুন করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার প্রয়োজন হয়নি।