খবর৭১ঃ
রাজধানীর কিছু কিছু এলাকার ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে মল ও জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়ার ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই এ বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রাজধানীর ওয়াসার পানির নমুনা পরীক্ষা-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার ১০টি জোনের মধ্যে চারটি মডস জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত আটটি নমুনা পানিতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত আটটি নমুনার পানিতে দূষণের তথ্যসংকান্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যলয়ে জমা দেয়া হয়। প্রতিবেদনে এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চমাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে এবং কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে তথ্য উঠে আসে।
গত ২১ মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আটটি নমুনাতে দূষণ পাওয়া যায়।