খবর৭১ঃ দাঁত দিয়ে পিন কামড়ে রেখে হিজাব পরছিলেন সুমনা (১১)। কিন্তু হঠাৎ করে অসাবধানতাবশত পিনটি তার শ্বাসনালির ভেতরে চলে যায়। অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সিলেটের জকিগঞ্জের খাদিমান গ্রামের এমন ঘটনা ঘটেছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের দক্ষতায় পিনটি বের করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রঙ্কোসকপি দিয়ে প্রায় ২৫ মিনিটের চেষ্টায় পিনটি বের করে আনা হয়। দ্রুত বাসায় ফিরে যেতে পারবে সুমনা।
হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নন্দ কিশোর সিনহার তত্ত্বাবধানে বিভাগের বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. নূরুল হুদা নাঈম পিনটি বের করেন। এসময় তার সহযোগিতায় ছিলেন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল হাফিজ শাফী, ডা. হাসনাত আনোয়ার, ডা. মনজুরুল হাসান, ডা. তারেক ও ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।
সুমনার বাবা আব্দুর রব চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, মেয়েটিকে নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা আমাকে সেই চিন্তা থেকে উদ্ধার করেছেন।
এ ব্যপারে ডা. নূরুল হুদা নাঈম বলেন, এ রকম বিপত্তি প্রায়ই ঘটে। তাই আমাদের সবার উচিত এভাবে মুখে কিছু না ধরা। এটা যেমন স্বাস্থ্যসম্মত নয়, তেমনি যেকোন সময় এতে বিপদের সম্ভাবনাও থাকে। এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে তা জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।