খবর৭১ঃ
১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া একই ঘটনায় ২৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনের ১০ বছর করে সশ্রম সাজা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে প্রত্যেককে।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ১১টা ৫২ মিনিটে বিচারক পাবনার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোস্তম আলী এই রায় ঘোষণা শুরু করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি সাবকে সভাপতি ও সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আকতারুজ্জামান, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল, বিএনপি নেতা মাহবুবুল রহমান পলাশ, শামছুল আলম, রেজাউল করিম শাহীন, শহীদুল ইসলাম অটল এবং আজিজুর রহমান।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী পিপি আকতারুজ্জামান মুক্তা বলেন, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সাংগাঠনিক সফরের অংশ হিসেবে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় তাঁর কামরাসহ ট্রেনটিতে গুলিবর্ষণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় ওই সময় জিআরপি পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুন করে ঈশ্বরদীর শীর্ষ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে চলতি বছরের ৩০ জুন আদালতে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের ৩০ জন নেতাকর্মী আদালতে হাজির হন। এ সময় বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই মামলায় আরো দুই আসামি ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান ওরফে বাবলু এবং বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম টেনু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ ছাড়া পুলিশ ওইদিন রাতেই আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলায় এ পর্যন্ত ৩৩ জন আসামি জেল হাজতে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ১৪ জন আর মারা গেছেন পাঁচজন।