খবর৭১ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক কাজী মুরাদ (২৭) এর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ধর্ষিতার চাচা মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক কাজী মুরাদের কাছে প্রায় দুই মাস ধরে নবম শ্রেণীর জনৈক এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ে আসছে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে কাজী মুরাদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবীনগর হাসপাতাল পাড়ায় তার ভাড়া বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষণ শেষে রাতের আধারে নবীনগর সমবায় মার্কেটের সামনে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে যাওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ পায়। রাতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আত্মীয় স্বজন বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্ট করে ব্যর্থ হয়। এই ঘটনায় মেয়ের চাচা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা করে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত আসামী কাজী মুরাদকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনোজিত রায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মুরাদকে আসামি করে একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।