খবর৭১ঃ বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মামলার ১১ নম্বর আসামি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা অপর এক অভিযুক্ত আসামি তানভীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ সোমবার বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে স্বেচ্ছায় তারা এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার নাজমুল হাসানকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে একই আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
আদালত তার আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সাগর ও সাইমুন নামের অপর দুজনের জন্য পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদেরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) হুমায়ুন কবির।
অপরদিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) ও রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে সোমবার ল্যাপটপ ছিনতাইচেষ্টা এবং শারীরিকভাবে জখম ও হুমকি দেওয়ার পৃথক আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নাহিদ হোসেন এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রীর সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি হামলাকারী সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে লড়াই করেও তাদের থামাতে পারেননি।
গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ২৭ জুন হত্যা মামলা দায়ের করেন রিফাত শরীফের বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, পুলিশ এ পর্যন্ত আটজনকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে মূল আসামি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী এবং রিশান ফরাজী এখনো গ্রেপ্তার হননি।