মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ খবর৭১,
এবার অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুঁইয়েছেন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আলতাফ হোসেন দুলাল। সোমবার বগুড়া থেকে ফেরার পথে বিআরটিসি’র একটি বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। বর্তমানে তিনি অবচেতন অবস্থান রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত তাঁর জ্ঞান ফিরে আসেনি।
জানা গেছে, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার রংপুরের বদরগঞ্জ প্রতিনিধি আলতাফ হোসেন দুলাল ঘটনার দিন সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিআরটিসি বাসে করে রংপুরে আসছিলেন। পথিমধ্যে ওই বিআরটিসি বাসের ভেতরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। তারা বাসের মধ্যে তাকে কৌশলে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে। পরে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাঁর প্যান্টের পকেটে থাকা টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। ঘটনাটি পথিমধ্যে ওই বাসে থাকা লোকজন টের পান। ততক্ষণে বাসটি রংপুর থেকে সৈয়দপুরে দিকে রওয়ানা হন। পরে বাসের লোকজন সাংবাদিক আলতাফ হোসেন দুলালের প্যান্টের প্যাকেটে থাকা পত্রিকার পরিচয়পত্র দেখে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাঁর মুঠোফোনে থাকা নম্বর থেকে নিকটজন মো. মশিউর রহমানকে কল করে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে বিআরটিসি বাসের লোকজন সাংবাদিক আলতাফ হোসেন দুলালকে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিআরটিসি বাস কাউন্টারে নামিয়ে দেন। পরে অবচেতন অবস্থায় সাংবাদিক দুলালকে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সাংবাদিক দুলালের ভাই আশরাফুল হক, পরিবারের সদস্যসহ সহকর্মি সাংবাদিক রহিদুল মিয়া আজাদ সৈয়দপুর হাসাপাতালে ছুঁটে আসেন। পরে সেখান থেকে বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে সাংবাদিক দুলাল রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডের ২৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে অবচেতন থাকায় তাঁর পকেট থেকে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা জানা যায়নি। এদিকে, প্রথম আলো পত্রিকার বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জামিল আহমেদ পরাগ জানান, সাংবাদিক আলতাফ হোসেন দুলাল তাঁর কাছেই এসেছিলেন এবং দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করে চলে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে কিছু টাকা-পয়সাও ছিল বলে জানান তিনি ।