সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরী সাথে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে ইকবাল হোসেন(২০)। ইকবাল হোসেন বাদাঘাট ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে।
শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করার ফলে ঐকিশোরীটি ৫মাসের অর্ন্তসত্তা হয়ে পরে। শনিবার বিকেলে ঐ কিশোরী পিতার বাড়িতে ৫মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করার পর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়।
এ ঘটনার পর কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে ইকবাল হোসেনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাত ১০টায় তাহিরপুর থানার ওসি(তদন্ত)মোঃ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ও থানার এ এস আই মোঃ মণির হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা দীঘিরপাড় গ্রামে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ধর্ষনকারী লম্পট ইকবালকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এঘটনায় অভিযুক্ত মোঃ ইকবাল হোসেনকে(২০)কে রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে ঐ কিশোরী ৫মাসের ছেলে মৃত সন্তান প্রসব করার পর এলাকায় আলোচনার ঝড় বইতে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীঘিরপাড় গ্রামের ইকবাল হোসেন একই গ্রামের ঐ তরুণীকে এক বছর পূর্বে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ পর্যায়ে ইকবালের কথা বিশ্বাস করে দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এরমধ্যে ইকবালের সাথে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করায় এক পর্যায়ে কিশোরীটি ৫মাসের গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। শনিবার বিকালে পিতার বাড়িতেই সে ৫মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। এর পর পর তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় মুরুব্বীদের নিয়ে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে গরীব কিশোরীর পিতাকে কিছু অর্থখড়ি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল ধর্ষনকারী ও তার পিতা।