খবর৭১ঃ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১৪তম স্প্যান আজ বসানো হচ্ছে না । বৈরি আবহাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মাওয়া প্রান্তের ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের স্প্যানটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের। তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে যায় ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান ই’। স্প্যানটি বসানো হলে এ প্রান্তে পদ্মা সেতুর ২১০০ মিটার দৃশ্যমান হবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
সকালে ১৪তম স্প্যানটি বসানো হবে সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১৫ ও ১৬ নম্বর খুঁটিতে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা।
খুঁটি দুটিও স্প্যান বহনের সম্পূর্ণ উপযোগী করা হয়েছে। সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ৩-সি নম্বর স্প্যান বসানোর সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত।
বসানোর উপযোগী করে স্প্যানটি ইয়ার্ডের জেটির কাছে রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে বসবে ৪১টি স্প্যান। চীনে প্রস্তুত বাকি ১৫টি স্প্যান যথাসময়ে মাওয়ায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৬ দশমিক ১৫ কিলেমিটার মূল সেতুটির সংযোগ সেতুসহ দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৯ কিলোমিটার। এ সেতু ২০২০ সালের শেষের দিকে চালু করা হবে।
এদিকে চীন থেকে আরও দুটি স্প্যানবাহী জাহাজ মাওয়ার পথে রয়েছে। সমুদ্রপথে স্প্যান দুটি নিয়ে ১০ দিন আগে যাত্রা করা জাহাজটি কয়েক দিনের মধ্যে মোংলাবন্দরে পৌঁছবে। সেখান থেকে তা অন্য জাহাজে করে নদীপথে আনা হবে মাওয়া কুমারভোগের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। চীন থেকে এ পর্যন্ত আসা ২৪টি স্প্যানের মধ্যে ১৫টি পরিপূর্ণ অবস্থায় ইয়ার্ড থেকে বের করে আনা হয়েছে।
যা ১৩টি খুঁটিতে উঠানো হয়েছে। আর দুটি স্টোর করা হয়েছে খুঁটির কাছাকাছি মাঝের চরের প্ল্যাটফরমে এর মধ্য থেকেই একটি বসতে যাচ্ছে ১৫ ও ১৬ নম্বর খুঁটিতে। আর বাকি ৮টি স্প্যান ইয়ার্ডে ফিটিং করা হচ্ছে।