খবর৭১ঃ দিনেদুপুরে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চন্দন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি নয়নসহ অন্যরা এখনো পলাতক রয়েছে। বুধবার রাতে চন্দনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
বরগুনা সদর থানা সূত্র জানায়, ঘটনার দিন বুধবার রাতেই বরগুনা সদরের আমতলা এলাকা থেকে চন্দনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এ হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সঙ্গে ডিবি পুলিশও মাঠে নেমেছে
জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নয়ন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে ৪-৫ দুর্বৃত্ত রিফাতকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসক বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন বিকাল ৪টার দিকে রিফাত মারা যান। তিনি বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের দুলাল ফরাজীর একমাত্র ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর প্রেমিক নয়ন। রিফাতের সঙ্গে দুই মাস আগে পুলিশলাইন সড়কের আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নামের এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নয়ন নামে এক যুবক মিন্নিকে তার প্রেমিকা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিতে থাকে।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, নয়ন প্রতিনিয়ত আমার পুত্রবধূকে উত্ত্যক্ত করত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে যারা দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।