বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়: প্রধানমন্ত্রী

0
400

খবর৭১ঃ উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছি বলেই বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রবৃদ্ধিতে আমরা এগিয়ে চলছি। যেটা দেখে বিশ্ব অবাক হচ্ছে। এখন যেখানেই যাই, সেই কদরটা পাই, দেশবাসীও সেই সম্মানটা পায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের জনকল্যাণমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের কারণে বাংলাদেশের এই উন্নয়ন এবং অদম্য অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তুলনীয় এক শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জনপদ।

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে রাজি হয়নি। ফলে ২৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন করেছি। চুক্তিতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে দুই বছরে মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তথাপিও মিয়ানমার সরকার নানা তালবাহানা করে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করছে। বিশ্ব জনমত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অব্যাহতভাবে আমাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনে একটি রিপোর্ট প্রেরণ করেছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার তাদেরকে এ বিষয়ে কাজ করতে দিচ্ছে না। মিয়ানমারের অসযোগিতা সত্ত্বেও আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক দুটি পথই খোলা রেখেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি যে, পদ্মা সেতুর মত বৃহত্ প্রকল্প নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি। পদ্মা সেতুসহ আমরা ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। ২০৪১ সালে ১৬ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি মাথাপিছু আয় নিয়ে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। সোনার বাংলায় ’দারিদ্র্য’ হবে সুদূর অতীতের কোনো ঘটনা।

সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার আগামী পাঁচ বছরে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে মানব সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০)-এর কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বর্তমান ধারা অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা করা যায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো হয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার। বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিদ্যুত্ অপরিহার্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ খাত ছিল বিদ্যুত্। বর্তমানে বিদ্যুতের উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ক্যাপটিভসহ ২১ হাজার ৬২৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। চাহিদার তুলনায় উত্পাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় বর্তমানে সারাদেশে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই।

অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের লিখিত জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জানান, বয়স্ক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে বয়স্ক মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও চিকিত্সার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে বয়স্ক ভাতা চালু করে। আগামী অর্থ-বছরে বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধি করে ৪৪ লাখে উন্নীত করা হবে। বয়স্ক ভাতা সহায়তার আওতা সম্প্রসারণ ও ভাতার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here