খবর৭১ঃ
আনারস জ্বরের ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারি। সর্দি-কাশি বা ভাইরাল জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসায় খেতে পারেন আনারস। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি, যা আমাদের শক্তি জোগায়। প্রোটিন খাবার এ ফলটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আনারস টাটকা খাওয়াই ভালো।
আসুন জেনে নেই ক্যানসারসহ যেসব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে আনারস খাবেন।
ওজন কমাতে
যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় আছেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো খাবার হতে পারে। এতে প্রচুর ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকে। অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। তাই আনারসের স্মুদি বা ফ্রুটস সালাদ, ব্রেকফাস্ট বা ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন।
ত্বকের যত্নে
আনারসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ডেড সেল দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়, অ্যান্টিএজিংয়ের কাজ করে, ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাসটিসিটি ধরে রাখে। এছাড়া তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপ লাবণ্যের যত্নে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ
আনারসে থাকা ব্রোমেলিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অ্যাসপিরিনের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে আনারস।
ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে
এতে থাকা প্রচুর ভিটামিন সি ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ কমাতে আনারস বেশ উপকারী। নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে। তাই এ গরমে নিয়মিত আনারস খেয়েই দূর করা যাবে গরম- ঠাণ্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাবসহ নানা সমস্যা।
হাড় ও দাঁতের গঠনে
এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। মাড়ির সমস্যা এবং দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয়। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আনারস রাখা ভালো।
পুষ্টির অভাব পূরণে
পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল হচ্ছে এ আনারস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, থিয়ামিন,
রাইব্ফ্লোভিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এসব অপরিহার্য উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ক্যানসারপ্রতিরোধী
আমাদের দেহের কোষের ওপর ফ্রি-রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। দেশি আনারসে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি যা দেহকে ফ্রি-রেডিকেল থেকে আমাদের দেহকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
চোখের যত্নে
আনারসে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
প্রজনন ক্ষমতা
এতে থাকা ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, জিঙ্ক, কপার, ফোলেট পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
কৃমিনাশক হিসেবে
কৃমিনাশক হিসেবে আনারসের জুস ভালো কাজ করে। নিয়মিত আনারসের জুস খেলে কৃমির সমস্যা দূর করা সম্ভব।