খবর৭১ঃ পরোয়ানা জারি হলেই পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান গ্রেফতার হবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি আত্মসমর্পণ করতে চাইলে সেটাও করতে পারেন। সবকিছু চলবে আইনি প্রক্রিয়ায়। এতে তার যে শাস্তি হওয়ার সেটা হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, তার (ডিআইজি মিজান) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, বিচারের পর তার কোনো শাস্তি হলে তা হবে। এখানে আমাদের আর কিছু করার নেই, আইনি প্রক্রিয়া তা চলবে। তবে ডিআইজি মিজান আত্মগোপনে বিদেশে চলে যেতে পারেন কিনা এমন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।
মাদকের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এর আগে মাদকের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হবে না। হয় তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হয় তাদের কি পরিণতি হবে তারা সেটা ভালভাবেই জানেন। অবৈধ মাদক ব্যবসা, মাদক চোরাচালান আর দেশের মাটিতে করতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারীরা আত্মসমর্পণ করছে। যদি তারা স্বেচ্ছায় মাদক ব্যবসা না ছাড়ে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ মাদক উৎপাদন করে না। তবে আমরা মাদকের রুট হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছি। কেননা আমাদের চারপাশে সীমান্ত এলাকা আর এই সীমান্ত এলাকা দিয়েই ঢুকছে মাদক। আমাদের আইনশৃক্সখলা বাহিনী চেষ্টা করছে এগুলো রুট বন্ধ করে দিতে। আর যেন কেউ এই রুট ব্যবহার করে মাদক ঢুকাতে না পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর গত বছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার ৮৯৮টি সভা আয়োজন করেছে। ২৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকের সাপ্লাই কমাতে বর্ডার এলকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।