খবর৭১ঃ
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত খেললেও পাকিস্তানের পেস আক্রমণের সামনে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কিউইরা। স্কোরবোর্ডে ৮৩ রান যোগ হতেই টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরে তাদের।
পাকিস্তানকে ২৩৮ রানের টার্গেট দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বার্র্মিংহামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করে কিউইরা। শেষ চারের ওঠার জন্য ম্যাচটা পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম ধাক্কাটা দেন মোহাম্মদ আমির। ব্ল্যাক ক্যাপসদের দলীয় ৫ রানের মাথায় মার্টিন গাপটিলের (৫) স্ট্যাম্প ভেঙে দেন এই পাক-পেসার। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই শাহীন আফ্রিদি তুলে নেন আরেক ওপেনার কলিন মুনরোকে (১২)।
চাপের মুখে গত দুই ম্যাচের মতো এবারও স্তম্ভ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন কেন উইলিয়ামসন। কিউই অধিনায়ক দাঁতে দাঁত ঘেঁষে চেষ্টা করেন দলকে খাদ থেকে টেনে তুলতে। তিনি এক প্রান্ত আগলে রাখলেও দ্রুত ফিরে যান দুই সতীর্থ রস টেইলর (৩) এবং টম লাথাম (১)। দু’জনকেই উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ বানান শাহীন।
গত দুই ম্যাচে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি করলেও এবার সফল হননি উইলিয়ামসন। জিমি নিশামের সঙ্গে চেষ্টা করেন বড় জুটি গড়তে। কিন্তু শাদাব খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন উইলিয়ামসন (৪১)।
এমন বিপর্যয়ের মুখে কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে নিয়ে অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন নিশাম। দু’জনে মিলে গড়েন ১৩২ রানের জুটি। দলীয় ২১৫ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন ডি গ্রান্ডহোম। তার ৭১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও ১ ছক্কায়।
গ্রান্ডহোম ফিরলেও ইনিংসের শেষ বল পযর্ন্ত থেকে লড়াই চালিয়ে যান নিশাম। শেষ বলে ওহাব রিয়াজকে ছক্কা মেরে দলের স্কোর করেন ২৩৭ রান। নিশাম ১১২ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৯৭ রানে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার ৩ ছক্কায়। নিশামকে সঙ্গ দেওয়া মিচেল স্যান্টনার অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে।
বার্মিহামের এজবাস্টনে ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায়। কিন্তু বৃষ্টির কবলে পড়ে টস হয় এক ঘন্টা পর। টসে জিতে পাকিস্তানকে ফিল্ডিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড।