দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরেক দফায় আরো ৫ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। আইনটির মেয়াদ গত ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ায় আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল-২০১৯’ উত্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে।
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (আইন, ২০০২ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে আনীত একটি বিল) [আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার সংশোধন] বিল, ২০১৯ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংশোধন ও সংযোজনপূর্বক চূড়ান্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়। এটির মেয়াদ আরও পাঁচ বছরে করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।’
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশে চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজকতা সৃষ্টি, দরপত্র কেনা, বিক্রি, গ্রহণ বা দাখিলে বাধা দেয়া বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, ভয়-ভীতি দেখানো ইত্যাদি গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ প্রণয়ন করা হয়েছিল।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মো. ফরিদুল হক খান, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ অংশ নেন।
আইনটি করার সময় প্রথমে মেয়াদ দুই বছর করা হয়েছিল। পরে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ছয় বার এর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১৭ বছর করা হয়।
যার মেয়াদ ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হয়। আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও আরও উন্নতির জন্য মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।
এ আইনটির অধীনে তদন্তাধীন ও বিচারাধীন এক হাজার ৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।