খবর ৭১ঃ বাঁচানো গেল না দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ঝলসে যাওয়া নরসিংদীর কলেজছাত্রী ফুলন রানী বর্মণকে। দগ্ধ হওয়ার ১৩ দিন পর ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে না ফেরার দেশে চলে যান ফুলন।
ফুলন নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর মহল্লার যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। গত বছর নরসিংদীর উদয়ন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি।
গত ১৩ জুন রাতে বাড়ির কাছেই তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
ফুলনের বাবা যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ সকালে নরসিংদীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফুলন আজ ভোরে ঢাকায় মারা গেছে। তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, সকাল ছয়টায় ফুলন রানী মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
গত ১৩ জুন রাত সাড়ে আটটার দিকে দোকান থেকে কেক কিনে বাড়ি ফিরছিল ফুলন বর্মণ। পথে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তার হাতমুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ফুলনের বাবা যোগেন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মামলার পর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জিবসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।
পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজু সূত্রধর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। রাজুর দেওয়া তথ্যমতে, ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ ও আনন্দকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই ফুলনের শরীরে আগুন দেয়া হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন রাজু সূত্রধর।