খবর৭১ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন সব কিছু দেখতে হবে, সচিবরা তাহলে কী করে- এই প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিট শুনানির সময় এই প্রশ্ন উঠে।
রাজধানীর ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হয় বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানিয়েছিলেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট হয়।
শুনানিতে শাহরিয়ারকে ঢাকা থেকে খুলনায় সড়ক বিভাগে বদলির প্রসঙ্গটিও আসে। ঈদুল ফিতরের আগে আগে আড়ং এর উত্তরা আউটলেটকে জরিমানার পর পর ছুটির মধ্যে এই বদলির আদেশ আসে। তখন কথা ছড়িয়ে পড়ে যে, আড়ংয়ের প্রভাবের কারণে জরিমানার কারণে এই বদলি করা হয়।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আদেশ ঠেকিয়ে দেন। তিনি বিদেশ থেকেই বিষয়টি জানতে পেরে আদেশটি বাতিল করান বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
হাইকোর্টে শুনানিতে শাহরিয়ারের বদলি নিয়ে কথা বলেন বিচারপতি। বন্ধের দিনে তাকে বদলি করা হয়েছে এমন মন্তব্য করে আদালত বলে, ‘এটা লজ্জাজনক’।
‘বন্ধের মধ্যে ওই কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ স্থগিতে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। যদি সব কিছুতেই প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সচিবরা কেন আছেন? তারা কি ওদের পকেটে ঢুকে গেছেন?’
শাহরিয়ারকে যারা বদলি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে বিচারক বলেন, ‘এ ধরনের বদলির ফলে যারা সৎ অফিসার তারা কাজ করতে নিরুৎসাহিত হয়।’
এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।