খবর৭১ঃ ইউএন মেডেল অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১১০ জন অফিসার ও নাবিক বুধবার অর্জন করেন ইউনিফিল পদক। অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ১১০ জন অফিসার ও নাবিকদের এ পদক পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে পদক পরানো শেষে উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাহাজ বিজয়ের প্রধান ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম। পরে আগত অতিথিদের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ইউনিফিলের মেরিটাইম টাস্ক ফোর্সের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এডুয়ার্ডো অগাস্টো ওয়াইল্যান্ড (ব্রাজিল নৌবাহিনী)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- লেবানন নৌবাহিনী প্রধান হুসনি দাহের, বাংলাদেশ থেকে আগত নৌবাহিনীর বিশেষ প্রতিনিধি দলের প্রধান কমান্ডার মোজাম্মেল হক, লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার, তুর্কী ও অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ অনেকে।
বিশেষ প্রতিনিধি দলের প্রধান কমান্ডার মোজাম্মেল হক বলেন, ‘লেবাননে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। যে অ্যাওয়ার্ড আজ ১১০ জন পেল, তা সত্যিই গর্বের বিষয়।’
বাংলাদেশ থেকে আগত নৌবাহিনীর অডিট টিমের প্রধান ক্যাপ্টেন এম শরিফ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ‘আজ লেবাননের মুখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রশংসা- এটা আমাদের বিশাল অর্জন। বাংলাদেশে ও দেশের নৌবাহিনীর জন্য অনেক গৌরবের বিষয়।’
লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশের শান্তি রক্ষার যে কার্যক্রম এটি এখন সারাবিশ্ব জানে। শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ এখন অন্যতম। আজকের এই অর্জন অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বশান্তি রক্ষা মিশন ইউনিফিলের ছয়টি দেশের নৌবাহিনী রয়েছে লেবাননের সমুদ্র সীমানায়। এর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। ২০১০ সাল থেকে দক্ষ ও সুনামের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনী লেবাননের সমুদ্রসীমায় চোরাচালান রোধ, অনাকাঙ্ক্ষিত জাহাজ চিহ্নিত করা, প্রয়োজনে অপারেশনে সহায়তা করাসহ বিভিন্নভাবে লেবাননকে সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস বিজয় নিয়ে এ দায়িত্ব পালন করছেন ১১৬ জন। সমুদ্র সীমানা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রশিক্ষণ দিচ্ছে লেবানন নৌবাহিনীর সদস্যদেরও।