খবর৭১ঃ মিথ্যা ঘোষণায় আনা প্রাণ আরএফএল গ্রুপের ৩০ কনটেইনার পণ্য জব্দ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।
প্লাস্টিক দানা ঘোষণা দিয়ে ৩০ কনটেইনার সিমেন্ট নিয়ে এসেছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপ। এতে প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মলিউজ্জামান সজিব বাদী হয়ে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করেছেন। এই চালানের বিপরীতে অর্থ পাচার করা হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি লিমিটেড প্লাস্টিক দানা ঘোষণায় ৫১০ টন পণ্য নিয়ে আসে দুবাই থেকে। গত ২৬ মে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ৬ জুন রাতে ঈদের ছুটিতে চালানটি খালাসের চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু পণ্যের কায়িক পরীক্ষাকালে দেখা যায়, পণ্যের বস্তায় লেখা আছে সিমেন্ট। সন্দেহ হওয়ায় চালানটি আটকে দেয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার রাতে বন্দরের ইয়ার্ডে ৩০টি কনটেইনার খুলে ১০ হাজার ২৫০ বস্তা সিমেন্ট পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, ঘোষিত প্লাস্টিক দানার শুল্ক ৩২ শতাংশ। আর সিমেন্টের শুল্ক ৯১ শতাংশ। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিকদানা হিসেবে এই পণ্যের শুল্ক পরিশোধ করে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কিন্তু প্রাপ্ত পণ্য- সিমেন্টের শুল্ক আসে প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই হিসেবে চালানটিতে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুন্ড জানান, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড দুবাই থেকে চালানটি নিয়ে আসে। তারা ৫ লাখ ৬৬ হাজার ডলারের ৫১০ টন প্লাস্টিক দানা আনার ঘোষণা দেয়। কিন্তু পণ্যের বস্তার গায়ে সিমেন্ট লেখা থাকায় মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক দানা ঘোষণা দিয়ে সৌদি আরবের জেবল আলী গ্রুপের উন্নত মানের সিমেন্ট আনা হয়। আমরা প্রাথমিকভাবে ৩০ কনটেইনার পণ্য জব্দ করেছি। ৩০টি কনটেইনারের সিমেন্টের বাইরে অন্য কোনো পণ্য আছে কি-না সেগুলো তদন্ত করে দেখব এবং শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হবে।
প্রাণের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির মামলা করা হয়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এই কর্মকর্তা বলেন, আপাতত ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে যদি এই চালানে অর্থ পাচার কিংবা অন্য কোন পণ্য আনার ঘটনা ধরা পড়ে তবে পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।