খবর ৭১ঃ আগামী দু’বছরে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে পারে মিয়ানমার সরকার। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ানের এক প্রতিবেদনে এমন আভাস দেয়া হয়েছে।
আসিয়ানের ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট টিমের (আসিয়ান-ইএআরটি) ফাঁস হয়ে যাওয়া ওই প্রতিবেদনটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যেই ওই প্রতিবেদনটি দেখেছে এএফপি।
এর ফলে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলিমরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রয়েছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের বেশ কিছু পুলিশ ও সেনা চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু গ্রামে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের গুলি করে হত্যা এবং তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
সেনাবাহিনীর বর্বর অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘের বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা উঠে এসেছে। এই ঘটনাকে জাতিগত নিধন বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করারও আহ্বান জানিয়ে আসছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে মিয়ানমারের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। এছাড়া এখানকার রোহিঙ্গারাও আতঙ্কের কারণে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান না। সেখানে আবারও আগের মতো পরিস্থিতি হতে পারে বলে এখনও তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়ে গেছে।
প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার বিষয়ে কাজ চলছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ওই প্রতিবেদনে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ না করে তাদের ‘মুসলিম’ সম্প্রদায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে