খবর৭১:২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৩০ মিনিট নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার পর চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান ঘাট কর্তৃপক্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘাট এলাকায় ১৫০ গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। লঞ্চঘাট ও সিবোট ঘাট এলাকায় যাত্রীদের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
জানা যায়, সকাল ১০টায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে যাত্রীরা পদ্মা পার হচ্ছেন। রাতে দুর্ঘটনা এড়াতে বেশিরভাগ যাত্রী ফেরিতে পার হয়েছেন। আকাশ মেঘলা আর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে গৌন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কায় অনেক যাত্রীরা। ঢাকার গুলিস্তান থেকে শিমুলিয়া ঘাটগামী বাসযাত্রীদের চাপ পড়েছে। মাওয়া চৌরাস্তা থেকে বাস যাত্রীরা হেঁটে ঘাটের উদ্দেশে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র উপ মহাব্যবস্থাপক (শিমুলিয়া ঘাট) মো. নাসির হোসেন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল থেকে ৩টি রো রো’সহ ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ কম থাকলে ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক পার করতে হচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাটের মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ ছিল। বর্তমানে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক আছে। লঞ্চঘাট ও সিবোট ঘাটে যাত্রীদের চাপ বেশি। ফেরিতে খুব একটা চাপ এখনো পড়েনি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পদ্মা পার হচ্ছেন। যাত্রীদের হয়রানি ও ভোগান্তি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক ইনচার্জ কাজল জানান, ঘাট এলাকায় ১৫০ গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে গাড়ির চাপ বেশি। এর মধ্যে প্রাইভেটকার, বাসের সংখ্যাই বেশি।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া লঞ্চঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, লঞ্চ ও সিবোট ঘাটে যাত্রীদের অত্যাধিক চাপ। সকাল থেকেই চাপ বাড়তে শুরু করেছে। ৮৭টি লঞ্চ ও ৫ শতাধিক সিবোট যাত্রীদের পারাপার করছে।